চট্টগ্রামে শ্রমিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ২০

চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ শ্রমিককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে নগরের বায়েজিদ থানার বালুছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক প্রায় দুই ঘন্টা যানচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে সন্ধ্যার পর আবার যান চলাচল শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরের বালুছড়া এলাকার ফোর এইচ গ্রুপের পোশাক কারখানার কর্মী হাজেরা খাতুন গত শনিবার আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে রবিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। এর অংশ হিসেবে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে প্রধান ওই সড়কে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ এসে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলে। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লার্ঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়।

হোসনা আরা বেগম নামে এক শ্রমিক বলেন, আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম কয়েক দিন ধরে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণ করবে বললে করছে না। তাই আমরা আজকে বাধ্য হয়ে সড়কে বিক্ষোভ করতে এসেছিলাম। কিন্তু আমরা পুলিশের ওপর হামলা করেনি। পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।
এদিকে ঘটনার সময় পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন চট্টগ্রামে প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক জুয়েল শীল। এই ঘটনায় চট্টগ্রামের সাংবাদিক সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।

ফটো সাংবাদিক জুয়েল শীল জানান, বিক্ষেভরত নারী শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ করছিলো পুলিশ। আমি সেই ছবি তুলছিলাম। এরমধ্যেই বায়োজিদ থানার এএসআই শরিফুলসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ধারণ করা ছবিগুলো পুলিশ মুছে দেয়।

বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কিছু শ্রমিক সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। আমরা তাদের সড়ক  থেকে সরিয়ে দিয়েছি। যান চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। লাঠিচার্জ করা হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment